April 18, 2024, 8:00 am
সর্বশেষ:
শার্শায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কালামের নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আমিরাতে কানাইঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণ পরিষদের ঈদ পুর্নমিলনী চরভদ্রাসনে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মায়ের মামলায় তার বাবাকে গ্রেফতার বান্দরবানে পর্যটকের খরা, হতাশ ব্যবসায়ীরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে মৌলভীবাজারে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে জামপুরে তালতলায় ইট ভাটায় গাড়ি ভাংচুর ও হামলায় আহত ৫ বান্দরবানে কেএনএফ সন্দেহে আটক ৫২ জন কারাগারে আমিরাতে শতাধিক প্রবাসীকে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ঈদ উপহার বিতরণ গোলাপগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ইফতার

দুবাইয়ে নারী পাচার করতো নদী, ছিল পাচার চক্রের সমন্বয়ক

  • Last update: Tuesday, June 22, 2021

আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের বাংলাদেশ অংশের সাতজনকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও বিভাগের হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এরপরই জানা যায়, ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করে ভারত-মালয়েশিয়া-দুবাইয়ে নারী পাচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নদী আক্তার ইতি ওরফে জয়া আক্তার জান্নাত ওরফে নূর জাহান (২৮)। পাচারের কৌশল হিসেবে একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করতেন তিনি।

গত সোমবার এ চক্রটির সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, নদী আক্তার ইতি (২৮), আল আমিন হোসেন (২৮), সাইফুল ইসলাম (২৮), আমিরুল ইসলাম (৩০), পলক মন্ডল (২৬), তরিকুল ইসলাম (২৬) ও বিনাশ শিকদার (৩৩)।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ। পরে তাদের আদালতে তোলা হলে ৭ জনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ দিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, পাচারের উদ্দেশে আনা মেয়েদের যশোর সীমান্তে বিভিন্ন বাড়িতে রেখে সুযোগমতো ভারতে পাচার করত চক্রটি। পাচারকরা প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসত।

তিনি বলেন, ২০০৫ সালে শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজীব হোসেনের সঙ্গে নদীর বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে রাজীব বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। এরপর থেকেই নদী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পাচারকরা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নদীর দশটির মতো নাম পাওয়া যায়। নদী ভারত, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের নারী পাচার চক্রের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পাচার নারীদের কাছে তিনি নিজেকে নদী নামে পরিচয় দিলেও ভারতে সবাই তাকে ইতি নামে চেনেন। ভারতীয় আধার কার্ডে তার নাম জয়া আক্তার জান্নাত। বাংলাদেশি পাসপোর্টে নুর জাহান, সাতক্ষীরা সীমান্তে জলি আর যশোর সীমান্তে তিনি প্রীতি নামে পরিচিত।

গ্রেফতাররা কতজনকে ভারতে পাচার করেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করেছি। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিস্তারিত সব জানতে পারবো।

নদীর সঙ্গে টিকটক হৃদয়ের ঘনিষ্ঠতা জানতে চাইলে ডিসি তেজগাঁও বলেন, নদী, হৃদয় বাবুসহ আরও দু’একজনের নাম আগে উল্লেখ করেছিলাম। তাদের সঙ্গেও নদীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং পরস্পর যোগসাজশে পাচার করেছে।

ভারতে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে ওই ভিডিওর সঙ্গে নদীর সম্পৃক্ততা কতটুকু? এ বিষয়ে তেজগাঁও ডিসি বলেন, টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে যেহেতু নদীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সেহেতু ওই ভিডিওর সঙ্গেও নদীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC