April 20, 2024, 2:24 pm
সর্বশেষ:
বাংলাদেশ-ইউএই কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে সম্পর্ক আরও বৈচিত্র্যময় করার আহ্বান গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১৩ জুয়াড়িকে আটক মিয়ানমার থেকে আরও ১৩ বিজিবি সদস্য বাংলাদেশে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: ১৭ নারীসহ ৫২ জন রিমান্ডে মোরেলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত আলফাডাঙ্গায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৪ উদযাপন শার্শায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কালামের নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আমিরাতে কানাইঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণ পরিষদের ঈদ পুর্নমিলনী চরভদ্রাসনে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মায়ের মামলায় তার বাবাকে গ্রেফতার

দুই শিশু পুত্রকে আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বিচারক পিতা

  • Last update: Monday, September 6, 2021

দুই শিশু পুত্রকে আগ্নেয়াস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বিচারক পিতা। এমন একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি সিনিয়র সহকারী জজ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

৬ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বনের ভেতর দুই শিশু পুত্রকে একটি পিস্তল চালনা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পিতা। নদীর ধার ঘেষে বনের বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফা দুই সন্তানকে নিজে অস্ত্র চালানা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এ সময় একজন সকল কর্মকাণ্ড ভিডিও করছিলেন।

এ সময় দেখা যায়, পিস্তল হাতে শিশুপুত্র। পেছনে দাঁড়িয়ে বিচারক পিতা। তিনি ছেলেকে শেখাচ্ছেন ট্রিগার চাপার কৌশল। ছেলেও একের পর এক ছুড়ছেন গুলি। বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে চারপাশ।

এ বিষয়ে বিচারক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল যুগান্তরকে বলেন, এ ঘটনায় পারিবারিক লোকজন জড়িত। পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকেই নিয়াজ মাহমুদ নামে একজন আমাকে বিপাকে ফেলতে ভিডিওটি নতুন করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। আমার বড় বোন তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার কারণে সে আমাদের পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ। সে রাষ্ট্র, আওয়ামী লীগকে নিয়ে অনেক আজে-বাজে কথা বলেন, সেফুদা’র মতো।

তিনি জানান, ভিডিওটি ২০১৬ সালের দিকের। সে সময় আমি সুন্দরবনে ছিলাম। তখন বাচ্চারা শখ করে এক/দুই দিন করেছে। কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে নয়, এই ধরেন গাছকে এইম করে গুলি করা এই আরকি। আমি ডিউটিকালীন সময়ে ঘুমিয়ে গেলে আমার সহকর্মীরা পিস্তল নিয়ে ডিউটি করত, এটা কোনো অপরাধ নয়। কয়রায় ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন সুন্দরবনের বনদস্যু ও ডাকাতদের হটাতে গুলি চালাতে হত।

তিনি বলেন, ‘এটা খুব সহজ জিনিস, কিন্তু উনি (নিয়াজ মাহবুব) পারিবারিক দেখাদেখির মানে দেখে নেব- এই মনমানসিকতা থেকে নেগেটিভভাবে উপস্থাপন করেছেন।’

শিশুদের হাতে বন্দুক তুলে দেওয়া ঠিক ছিল কি না জানতে চাইলে জুয়েল বলেন, ‘তখন তো বন্ধুবান্ধব আমরা এমনি ফায়ার করতাম। একটা গাছ টার্গেট করে ফায়ার করতাম, আমার যেহেতু অস্ত্র আছে দুইটা, আমার ওয়াইফ ও আমার ছেলেমেয়েরা একটু শিখত। শ্যুটিং একটা স্পোর্টস। এরা এখন থেকে শিখলে এটা ঠিক হবে, এটুকুই।

বাচ্চাদের আগ্নেয়াস্ত্র চালনা শেখানো নৈতিকভাবে কতটুকু ঠিক এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম বলেন, এটা বাচ্চারা শখ করে করেছে। তবে এটা করা ঠিক হয়নি। সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC