এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক পণ্যবাহী কন্টেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী এই ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তঃসংস্থা কমিটির নেতৃত্বে ধ্বংস কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী। এতে পরিবেশ অধিদফতর, বিস্ফোরক অধিদফতর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে রবিবার রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ধ্বংস কার্যক্রম চলে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার এবং স্থানীয় বন্দর থানার পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ধ্বংসকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল— আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বনেটের ১৬টি কন্টেইনার, অরেঞ্জ ইমালসনের ১টি, সুইট হুই পাউডারের ১টি এবং স্কিমড মিল্ক পাউডারের ১টি কন্টেইনার। দীর্ঘদিন ধরে এসব কন্টেইনার জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকায় বন্দরের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। এর আগে গত বছর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে ১৪ বছর ধরে পড়ে থাকা অতি দাহ্য চারটি বিপজ্জনক কার্গো কন্টেইনার অপসারণ ও ধ্বংস করা হয়েছিল। এনবিআর জানায়, বন্দরে কন্টেইনার জট নিরসনে প্রায় ৬ হাজার ৬৯টি কন্টেইনারের (প্রায় ১০ হাজার টিইইউ) ইনভেন্টরি সম্পন্ন করে দ্রুত নিলামে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কন্টেইনার নিলামে বিক্রি হয়েছে, যা বন্দরের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। রাজস্ব বোর্ড আশা প্রকাশ করেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস দ্রুত নিলাম কার্যক্রম শেষ করে বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংসের এ কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চলবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
