এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় যুবদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ছাত্রদল কর্মী নিহতের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছয়জন এজাহারনামীয় আসামি বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), মো. সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), জিহান (২২), মো. তামজিদুল ইসলাম ওরফে সাজু (৪৭), মো. আরাফাত (২২), মো. ওসমান (২৮) এবং দিদারুল আলম রাসেল। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, “সাজ্জাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।” গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোডের বগারবিল এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের ছবিযুক্ত একটি ব্যানার টাঙানো ও সরানোকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এবং আরও অন্তত ১৩ জন আহত হন। ঘটনার পর নিহত সাজ্জাদের পিতা বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় ৩৫–৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে ১৭ জনের। এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (২৯), মো. নজরুল ইসলাম সোহেল (৪২), মিল্টন (৪৪), বাদশা ওরফে ছোট বাদশা (৩০), ইউসুফ ওরফে হিরন (২৫), সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), মো. সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), মোহাম্মদ দিদার (৪৫), রিয়াজ করিম (৩৩), জিহান (২২), মো. তামজিদুল ইসলাম ওরফে সাজু (৪৭), মো. আরাফাত (২২), বোরহান ওরফে ছোট বোরহান (২৫), মোজাহের মেম্বার (৫০), এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) এবং মো. নাঈম উদ্দিন (২৪)। স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। সাম্প্রতিক এই ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
