এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা(ইউএনও) মাহমুদুল হাসানের বিচক্ষনতায় উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা থেকে ২২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে, তারা কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবির থেকে কৌশলে বের হয়ে সাতকানিয়ায় এসে ইটভাটায় কাজ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
২৮ নভেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলার ছদাহা ও কেঁওচিয়া ইউনিয়ন থেকে তাদের আটকের তথ্য দিয়েছেন সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।
সেনাবাহিনী ও আনসারের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসনের পৃথক অভিযানে ছদাহা ইউনিয়ন থেকে ১০ জন এবং কেওচিয়া ইউনিয়ন থেকে ১২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। ১৫ দিন আগে তাদের সাতকানিয়ায় আসার তথ্য দিয়ে ইউএনও মাহমুদুল হাসান বলেন, ” সামনে নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার কোথাও কোন বহিরাগত অবস্থান করছে কিনা অথবা আইন শৃংখলা বিঘ্ন ঘটাতে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি তৎপর কিনা, সে ব্যাপারে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন সবসময় সজাগ রয়েছে, ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কিছু সংখ্যক সন্দেহভাজন বহিরাগত ইট ভাটায় কাজ করার তথ্য পেয়ে সেনাবাহিনী ও আনসারের সহায়তায় সাতকানিয়া থানার মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে দুটি ইটভাটা থেকে ২২ জনকে গ্রেফতার করে তাদের জেরার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তারা রোহিঙ্গা এবং উখিয়া আশ্রয় শিবির থেকে পালিয়ে এসে এখানে ইট ভাটায় কাজ নিয়েছে। উখিয়া থানায় তাদের হস্তান্তর করা হবে।”
ইউএনও বলেন, গেল ১৫ নভেম্বর সাতকানিয়া পৌর এলাকা থেকে আরও আটজন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছিল। এরা মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে সাতকানিয়া উপজেলায় এসে বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে, এখানে এসে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত হচ্ছে। সামনে নির্বাচন। রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সমস্যা হতে পারে বলে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় রোহিঙ্গারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন, এমন তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “ইটভাটার মালিকদের সাথে আমরা দ্রুতই বসব। আমাদের প্রধান বিবেচ্য নির্বাচন। কাজেই রোহিঙ্গারা যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে।”
