চট্টগ্রামের নগরজুড়ে সড়কবাতির সঙ্গে সিসিটিভিও বসানো হবে

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ স্মার্ট ও নিরাপদ নগর গড়তে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নগরজুড়ে সড়কবাতির সঙ্গে আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ‘ইমপ্লিমেনটেশন অব স্মার্ট লাইটিং (সোলার/নন-সোলার) উইথ এআই–বেইজড সিসিটিভি সার্ভিল্যান্স সিস্টেম ইন চট্টগ্রাম সিটি এরিয়া ফর এনশিউরিং স্মার্ট অ্যান্ড সেইফ সিটি’ শীর্ষক প্রকল্পের উন্নয়ন প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে। গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন(চসিক) সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে কমিটি গঠন করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়বকে কমিটির আহ্বায়ক এবং বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাফকাত বিন আমিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন—নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী মো. সরওয়ার আলম খান। অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, কমিটি ডিপিপি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করবে, প্রকল্পের বাস্তবায়ন নীতিমালা নিয়ে সুপারিশ দেবে এবং সংগ্রহকৃত তথ্য বিশ্লেষণ করে খসড়া ডিপিপি তৈরি করবে। প্রয়োজনে কমিটি অতিরিক্ত সদস্য কো–অপ্ট করারও ক্ষমতা পাবে। কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে মেয়র বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। যেখানে আলো নেই সেখানে নতুন লাইটঃ কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্মার্ট লাইটিং প্রকল্পের আওতায় যেসব এলাকায় এখনো সড়কবাতি নেই, সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন লাইট স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ গোলচত্বর, সড়কমুখী মোড় এবং জনসমাগম–নির্ভর এলাকায় উন্নতমানের সিসিটিভি বসানো হবে। তিনি বলেন, “প্রতিটি পোলে সিসিটিভি স্থাপন করা হবে না। একটি উচ্চমানের ক্যামেরা প্রায় ২৫০ মিটার পর্যন্ত এলাকা কাভার করতে পারে। বর্তমানে একটি বৈদ্যুতিক পোল থেকে আরেকটির দূরত্ব গড়ে ২৫ মিটার। সে হিসেবে ১টি ক্যামেরা বসানোর পর প্রায় ১০টি পর্যন্ত পোল বাদ দেওয়া সম্ভব। এতে ব্যয় কমবে এবং কাভারেজও নিশ্চিত হবে।” নগর নিরাপত্তায় নতুন মাত্রাঃ চসিক সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, অপরাধ দমন, দুর্ঘটনা শনাক্তকরণ ও জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি সোলার ও নন–সোলার স্মার্ট লাইটিং ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও করা যাবে। চসিকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নগরীর মূল সড়ক, বন্দরসংলগ্ন এলাকার প্রবেশমুখ, আগ্রাবাদ, জিইসি, বাকলিয়া, নিউ মার্কেট, চকবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রথম পর্যায়ে স্মার্ট লাইট ও সিসিটিভি স্থাপন করা হতে পারে।

Facebook Comments Box
Share:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *