March 29, 2024, 12:26 am

‘ঘুষ হিসেবে জোর করে রাঁজহাস নিয়ে যান ওসি’

  • Last update: Thursday, October 1, 2020

বাগেরহাটের শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসি তদন্ত মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, প্রতিপক্ষকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করতে সহায়তা, নিরীহ একটি পরিবারকে হুমকি দেয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ ও ন্যায় বিচার পেতে বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে শরণখোলা উপজেলার নলবুনিয়া দ্বীপচর এলাকার মো. ফজলুল হক সওদাগরের মেয়ে লিপিয়া আক্তার।

এসময় লিপির বড় বোন নাসিমা আক্তার ও বোন জামাই মুন্না উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ চৌধুরী ও তার ওয়ারেশদের কাছ থেকে ৪টি দলিলে আমার বাবা ৬৬ শতক জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকে আমরা এ ক্রয়কৃত জমি ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে ২০২০ সালের প্রথম দিকে আব্দুর রশিদ চৌধুরীর ছেলে প্রবাসী রাজ্জাক চৌধুরীর স্ত্রী খাদিজা বেগম আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করে। জমি দখলের অংশ হিসেবে দু একজন প্রতিবন্ধি এনেও খাদিজার বাড়িতে রাখেন।

সব নিয়ম কানুন ও আইন উপেক্ষা করে শরণখোলা থানার ওসি তদন্ত মো. মফিজুর রহমান শেখ খাদিজাকে জমি দখল করতে সহযোগিতা করেন। এর অংশ হিসেবে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে শরণখোলা থানার ওসি তদন্ত ১৪৪ ধারা অমান্য করে খাদিজা বেগমকে প্রায় সাত কাঠা জমি দখল করে দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল সাইদ আমাদের মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে বলেন। পরবর্তীতে খাদিজাকে দিয়ে দুটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছে আমাদের নামে।
লিপি আক্তার আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ওসি (তদন্ত) মো. মফিজুর রহমান আমাদের কাছ থেকে নগদ ১৭ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। আমাদের বাড়ি থেকে একটি রাজহাঁস জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আদালত ও থানায় মামলা থাকার পরও ওসি মো. মফিজুর রহমান খাদিজাকে জমি দখলে সহায়তা করে আসছেন। এসব বিষয়ে আমরা খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি, বাগেরহাটের জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপরেও ওসি (তদন্ত) মো. মফিজুর রহমান আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। দলিল অনুযায়ী জমি বুঝে পাওয়ার দাবি করেন তিনি।

ফজলুল হক সওদাগরের বড় মেয়ে নাসিমা বেগম আরও বলেন, ডিআইজি স্যারের কাছে আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্যার থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদকে ফোন করে আমাদের টাকা ফেরত দিতে বলেন। যার ফোন রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে। তারপরও আমরা কোন প্রতিকার পাইনি। ওসি তদন্ত মো. মফিজুর রহমান শেখ আমাদেরকে প্রতিমাসে একটি হয়রানি মূলক মামলা দেয়ারও হুমকি দিয়েছেন।
এ নিয়ে ওসি (তদন্ত) মো. মফিজুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ফজলুল হক সওদাগরের মেয়ে যেসব অভিযোগ করেছে সেসব মিথ্যা ও বানোয়াট। খাদিজা বেগম ও ফজলুল হক সওদাগরের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এসব বিরোধে ফজলুল হক সওদাগরের পরিবার আমাকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছেন।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC