March 29, 2024, 12:24 pm

ঘরে ঘরে জ্বরের রোগী, হাসপাতালের বেডে নেই রোগী

  • Last update: Sunday, June 27, 2021

মো. রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ রোগীর সংকট দেখা দিয়েছে। গত তিন চারদিন হাসপাতালের বেডগুলো খালি পড়ে রয়েছে। বিশেষ কারণ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না কেউ। যারা আসছেন তারা জরুবি বিভাগ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। যদিও কয়েকদিন আগে হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি হয়ে বেড ছাড়াও ফোরে শুয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মণিরামপুরে গত একমাস ধরে জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। ঘরে ঘরে জ্বরে ভুগছেন অনেকে। জ্বর ও সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হাজার হাজার রোগী গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিলেও হাসপাতালে ভিড়ছেন না। তবে হাসপাতালে রোগী না যাওয়া বা ভর্তি না থাকা নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। রোগী বা তাদের স্বজনদের দাবি, কোন রকম জ্বর ও সর্দিকাশি নিয়ে হাসপাতালে গেলে জোর করে করোনা পরীা করানো হচ্ছে। তাছাড়া জ্বরের রোগীর প্রতি নার্স বা চিকিৎসকরা তেমন যত্ন নিচ্ছেন না। আর হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি নারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই আতঙ্কে রোগীরা হাসপাতালে থাকতে চাচ্ছে না। উপজেলার মাহমুদকাটি গ্রামের ফাতেমা বেগম জ্বরে ভুগছেন ১০-১২ দিন ধরে। তিনি হাসপাতালে না গিয়ে গ্রাম্যভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ফাতেমা বেগম বলেন, হাসপাতালে গেলে করোনা সন্দেহে জোর করে টেস্ট করাচ্ছে। নার্সেরা ভাল ব্যবহার করে না। এইজন্য বাড়ি ডাক্তার দেখাচ্ছি। একই গ্রামে আমির হোসেন বলেন, পাঁচদিন জ্বরে ভুগিছি। এখন সুস্থ আছি। হাসপাতালে যাইনি ভয়ে। রোহিতা গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, এলাকায় প্রতি বাড়ি জ্বরের রোগী রয়েছে। শনিবার (২৬জুন) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাগডোব গ্রামে ইকবাল হোসেন ও আবুল কালাম নামে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে কেউ যাচ্ছেন না। হাসপাতালে গেলে যদি করোনা ধরা পড়ে তাহলে বাড়ি আটকে রাখবে। নানাভাবে হয়রানি করা হবে। এই ভয় পাচ্ছেন সবাই। রঘুনাথপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক প্রকাশ মল্লিক বলেন, চার গ্রাম মিলে ১৫০ জন জ্বরের রোগী চিকিৎসা দিচ্ছি। শ্বাসকষ্ট না হলে কেউ হাসপাতালে যাচ্ছে না। রোগীরা হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছে। মণিরামপুর হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ বন্দনা নন্দি বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি আছে। এটা জানার পর ভয়ে কেউ হাসপাতালে থাকছে না। বড় ধরনের সমস্যা ছাড়া এখন কেউ ভর্তি থাকছে না। জরুরি বিভাগ থেকে ফিরে যাচ্ছে।

মণিরামপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অনুপ বসু বলেন, হাসপাতালে ছয় জন করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন পাঁচজনসহ মোট ২১জন রোগী ভর্তি আছে। ৫০ শয্যার মধ্যে বাকি বেডগুলো খালি রয়েছে। রোগী ভর্তি না হওয়া নিয়ে ডা. বসু বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি থাকার খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালে আসলে করোনা পরীা হবে। পজেটিভ হলে লকডাউনে থাকতে হবে। এসব ভয়ে জ্বর,সর্দিকাশির রোগী হাসপাতালে আসছেন না। তবে বহির্বিভাগে রোগীর চাপ রয়েছে। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, উপজেলায় প্রচুর জ্বরের রোগী রয়েছে। হাসপাতালে আসার জন্য রোগীদের নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC