April 25, 2024, 9:32 pm
সর্বশেষ:

গণধর্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সুমির মৃত্যুঃ ২ আসামীর স্বীকারোক্তি

  • Last update: Sunday, May 24, 2020

খুন হওয়ার ৬১ দিন পর ময়মনসিংহের ভালুকার লিপি আক্তার ওরফে সুমি হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গণধর্ষণের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সুমির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে দুজন এ তথ্য জানিয়েছে।

গ্রেফতার ৫ জন হলেন- কথিত প্রেমিক রকিবুল ইসলাম (১৮), তার বন্ধু হৃদয় মিয়া (১৯), জয়নাল (২০), মামুন (১৯) ও লেগুনাচালক রাব্বি (২১)। এদের মধ্যে রকিবুল ও হৃদয় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার কংশেকুল গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী নূর হোসেন পরিবার নিয়ে উপজেলার জামিরদিয়া এলাকার আবুল সরকারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার মেয়ে লিপি আক্তার পাশের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

লিপি আক্তার পোশাক কারখানায় ডিউটি শেষে ফেরার পথে গত ১৫ মার্চ রাত ১০টার পর থেকে নিখোঁজ হন। ১৭ মার্চ লিপির বাবা নূর হোসেন গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ১৯ মার্চ বিকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে জমিরদিয়া এলাকার বিলাইজোরা খালের সেতুর পাশে থেকে একটি অর্ধগলিত অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন নূর হোসেন থানায় লাশ দেখে সুমিকে শনাক্ত করেন। ২০ মার্চ দুপুরে নূর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আসামিদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, মিলে চাকরি করার সুবাদে সুমির সঙ্গে হবিরবাড়ি হামিদের মোড় এলাকার আতর আলীর ছেলে রকিবুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

খুন হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকে লিপি বিয়ের জন্য রকিবুলকে চাপ দেয়। কিন্তু রকিবুল তাতে রাজি না হয়ে লিপির সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। ১৪ মার্চ রকিবুল আরও কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে লিপিকে গণধর্ষণের পরিকল্পনা করে।

সেই মোতাবেক ১৫ মার্চ রাতে লিপির কারখানা ছুটি শেষে লিপিকে রাব্বির লেগুনা দিয়ে রকিবুল জামিরদিয়া কড়ইতলা মোড়ের উত্তর পাশে একটি গভীর বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে সুমির হাত বেঁধে রাব্বি, মামুন, রকিবুল, আশিক, হৃদয় ও জয়নাল পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই লিপির মৃত্যু হয়। রাতে ঘটনাস্থলেই লিপির লাশ ফেলে রেখে যায়। আসামিরা পর দিন ১৬ মার্চ রাতে রাব্বির লেগুনা দিয়ে সুমির লাশ এনে বিলাইজোরি খালের পাশে ফেলে দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এসআই ইকবাল হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রকিবুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলার ধুবাউড়া উপজেলার উদয়পুর হরিণধরা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে হৃদয় মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধোবাউড়া উপজেলার ওই গ্রামের শামছুল হকের ছেলে মামুন, আব্দুছ ছাত্তারের ছেলে জয়নাল ও ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামের খন্দকার পাড়ার মুঞ্জুরুল হকের রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনের মাঝে ৫ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক অপর এক আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC