কুড়িগ্রামে ৭ মাস পর দুর্ধর্ষ ডাকাত পুলিশের হাতে আটক

রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদে আটকিয়ে দুই এনজিও কর্মীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ডাকাতি মামলার দুর্ধর্ষ ডাকাত আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামির পরিবারের লোকজন মামলাটির তদন্ত কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পুলিশের।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ। দীর্ঘ ৭ মাস পর তাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ওই সময় মামলাটি করেছিলেন ব্র্যাকের যাত্রাপুর শাখা ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৬ মাস আগে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ব্র্যাক ব্রাঞ্চের দুই কর্মী চরে ক্ষুদ্র ঋণের টাকা কালেকশন করে ফেরার পথে ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝপথে নৌকা আটকিয়ে দুই কর্মীকে মারধর করে প্রায় ৬ লাখ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে পালিয়ে যায় আল আমিনসহ আরও তিনজন। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন।

পরে পুলিশ দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চালিয়ে প্রধান আসামি আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত আলআমিন বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে রয়েছেন। আল আমিন যাত্রাপুর ইউনিয়নের কালির আলগা এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে মাদকের চোরাচালানসহ গাইবান্ধা জেলায় একটি মাদকের মামলা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সে এলাকা ও পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে আল আমিন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি আল আমিনকে নির্বাচনের রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তার পরিবারের লোকজন তদন্ত কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। যা পুলিশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।

ব্র্যাকের জেলা কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ ফাহিদ হাসান জানান, আমাদের দু’জন মাঠকর্মী যাত্রাপুরের চর থেকে ঋণের টাকা কালেকশন করে ফেরার পথে ডাকাতরা মাঝ নদীতে নৌকা আটকিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ডাকাতি করে। পরে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেন।

Facebook Comments Box
Share: