কুড়িগ্রাম জেলা শহরে প্রাইভেট কারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পিটুনিতে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোয়ান (৪৫) মারা গেছেন।
কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও পরিবহন ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম সোহানকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরি বিন্দুর বিরুদ্ধে। এঘটনায় রেজভীকে আটক করেছে পুলিশ।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এরই মধ্যে রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দুকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার পর মোটর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা শহরের ঘোষপাড়া, কাঁঠালবাড়ি, পাটেশ্বরীসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শহরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান হাটিরপাড় এলাকার আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে।
নিহত সোহানের বন্ধু খন্দকার রেদোয়ান মাহমুদ বলেন সোহানসহ আমরা তিন বন্ধু শহরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারে সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের গাড়ির সামনে এসে ছিটকে পড়ে। তখন আমরা আহত মোটরসাইকেল আরোহী দুজনকে উদ্ধার করে একটি অটোতে করে হাসপাতালে পাঠাই। পরে আমরা শহরের দিকে আসার সময় উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দুসহ তাঁর দলবল কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে আমার জিপ গাড়ির পথ রোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন সোহান।
ঘটনার পর মোটর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা শহরের ঘোষপাড়া, কাঁঠালবাড়ি, পাটেশ্বরীসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে।
ঘটনার পর মোটর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা শহরের ঘোষপাড়া, কাঁঠালবাড়ি, পাটেশ্বরীসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে।
‘পরে ছাত্রলীগ নেতা নিজেই আমাদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িতে করে সোহানকে হাসপাতাল নিয়ে যায়। হাসপাতালের সামনে নিয়েও ছাত্রলীগ নেতা ও তাঁর দলবল ফের সোহানকে মারধর করে। পরে আমরা আহত সোহানকে হাসাপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, নিহত সোহান পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় হত্যা মামলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার।