March 29, 2024, 4:30 am

করোনা ভাইরাস: পূর্ব রাজাবাজারে ‘লকডাউন’ কীভাবে পালন হচ্ছে?

  • Last update: Thursday, June 11, 2020

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারকে মঙ্গলবার রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা হয়েছে।
সংক্রমণের উচ্চহারের কারণে ওই এলাকাকে লকডাউন করা হয়। বলা হয়েছে, লকডাউন চলাকালে একমাত্র চিকিৎসক ও সংবাদকর্মী ছাড়া কেউ ওই এলাকা থেকে বের হতে কিংবা নতুন করে ঢুকতে পারবে না।

বাংলাদেশে এর আগে এমন কঠোরভাবে লকডাউন আরোপ করা হয়নি। পূর্ব-রাজাবাজারে কিভাবে চলছে এই লকডাউন? মঙ্গলবার সকালে পূর্ব-রাজাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় ঢোকার সব কয়টি প্রবেশমুখে তালা দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে।

কোন কোন প্রবেশমুখে লোহার গেটে তালার বাইরে বাঁশ আর কাঠ দিয়ে ব্যারিকেড বানানো হয়েছে।
গেটে ঝোলানো নোটিস গেটে প্লাস্টিক ব্যানার ঝুলিয়ে লিখে দেয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক রেড জোন ঘোষণা করে এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে। বড় বড় লাল হরফে লেখা হয়েছে ‘প্রবেশ নিষেধ’। ইন্দিরা রোড-পান্থপথ-তেজতুরি বাজার সংলগ্ন সব বন্ধ প্রবেশমুখে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল রয়েছে।

তেজতুরি বাজার সংলগ্ন একটি মাত্র গেট খোলা, যেখান দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের জরুরি খাদ্য সরবারহ এবং ওষুধবাহী দুয়েকটি পিকআপ ঢুকছে।
যারাই ভেতরে ঢুকছেন, তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। থেকে থেকে হ্যান্ডমাইক নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের স্বেচ্ছাসেবকেরা মাইকিং করে সচেতন করছেন বাসিন্দাদের।

সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, যদিও মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে পূর্ব-রাজাবাজারে লকডাউন হবে, কয়েকদিন ধরে এলাকায় এমন মাইকিং হয়েছে।
তারপরেও মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে এক ধরণের হুলস্থূল পড়ে যায়, বলছিলেন সরকারি চাকুরে শামীমা হক, যিনি পূর্ব রাজাবাজারের একজন বাসিন্দা।
খাবারবাহী গাড়ি “সবাই সারাদিন ছুটোছুটি করেছে, কারণ আবার কতদিনে আমরা স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরতে পারবো বুঝতে পারছি না। এজন্য ঘরের জন্য কিছু প্রস্তুতি -যেমন খাবার ও ওষুধ অন্তত সামনের কিছুদিনের জন্য কিনে নিয়েছি।”

বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন কেউ এলাকা থেকে ঢুকতে বা বের হতে পারবেন না। এসময় কোন বাজার বা জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রয়োজন হলে সিটি কর্পোরেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের জানাতে হবে, কোন সার্ভিস চার্জ ছাড়াই তারা সেটি বাড়ি পৌঁছে দেবেন।

কেউ কেউ অসুবিধায়
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যেহেতু অন্তত আগামী দুই সপ্তাহ লক-ডাউন চলবে, ফলে সাধ্যমত প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রায় সবাই।
কিন্তু সাধারণ ছুটি চলাকালে যাতায়াতে যে শিথিলতা ছিল, তেমনটি চলবে না জেনে কেউ কেউ রোববার থেকে এলাকা ছেড়ে কিছু দিনের জন্য অন্যত্র চলে গেছেন এমন কথাও জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC