সোলায়মান হাসান, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই নিজ গ্রামে ছুটে যান নজরুল ইসলাম আজাদ। গভীর রাতে দাদির আশীর্বাদ গ্রহণ করে তিনি বলেন, “এখন আর বিভাজনের সময় নয়, ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করাই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।”
পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে আজাদ আরও বলেন,
“জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে নিজেদের মধ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। গ্রুপিং নয়—ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
বহু বছর মামলা, গ্রেপ্তার ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যেও মাঠে থেকে দলকে সংগঠিত রেখেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মতে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্কই তাকে রাজনীতিতে শক্ত অবস্থানে এনেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও বাস্তব সুফল পাচ্ছে না জনগণ। এলাকাবাসীর মতে, এখনকার প্রধান সমস্যা—
- কর্মসংস্থানের ঘাটতি
- মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার চাপ
- সড়ক ও ড্রেনেজ অবকাঠামোর দুরবস্থা
- গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার দুর্বলতা
এই প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন,
“দেখানোর উন্নয়ন নয়, মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনতে চাই। আড়াইহাজারের জনগণ উন্নয়নের সুফল হাতে পেতে চায়—আমরা সেটাই নিশ্চিত করব।”
আড়াইহাজার উপজেলায় মোট ভোটার প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৮ হাজার ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫২ হাজার। নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের আগ্রহও বেড়েছে কয়েকগুণ।
আজাদ বলেন,
“ভয় দেখিয়ে নয়—এবার মানুষ রায়ের মাধ্যমে কথা বলবে। গণতন্ত্রের জয় হবেই।”
দাদির দোয়া নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন,
“মানুষের জন্য কাজ করতে হবে—এই শিক্ষা আমি ছোটবেলা থেকে তার কাছেই পেয়েছি। সেই বিশ্বাসই আমাকে পথ দেখাচ্ছে।”
স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, জনগণের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট। ঐক্য অটুট থাকলে আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে অনুকূল ফল আসবে বলে তারা আশা করছেন।
