নরসিংদীর জেলখানা মোড়ে ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কর্তৃক ঘোষিত হরতাল চলাকালে ঘোড়া নিয়ে মিছিলে অংশ নেয়া আলোচিত সৈকত হোসেন গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ ৮ মাস ১৬ দিন কারাবন্দী থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেন হেফাজত ইসলাম পলাশ থানার সহ-সভাপতি মুফতী যুবাইর আহম্মদ ভৈরবী।
সৈকত নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঢালুয়ারচর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। নাশকতা ও আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা দল এবং র্যাব-১১ এর অভিধানিক দল পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির দুর্গম এলাকা থেকে আলোচিত হেফাজতকর্মী মো. সৈকত হোসেন (২০) কে গ্রেফতার করে। ওই সময়ে তার বিরুদ্ধে জনমনে ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি, নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগে নরসিংদী মডেল থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
জানা গেছে, ২৮ মার্চ ২০২১ তারিখে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী সময়কালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কর্তৃক ডাকা হরতাল কর্মসূচি নরসিংদীর ভেলানগরের জেলখানা মোড়ে চলছিল। সেসময় সৈকত হোসেন ঘোড়া নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেয়। পরে বিক্ষুব্ধ হেফাজত নেতাকর্মীদের সাথে ঘোড়ায় চড়ে বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘোড়ায় চড়ে হরতাল পালনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই সারাদেশে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। পাশাপাশি দেশব্যাপী শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
এরপরই গত ৩ এপ্রিল র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা দল এবং র্যাব-১১ এর অভিধানিক দল পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির দুর্গম এলাকা থেকে সৈকত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৮ মাস পর করামুক্তি পাওয়ায় আলোচিত হেফাজতকর্মী সৈকতকে হেফাজত নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে ও মিষ্টি মুখ করিয়ে বরণ করে নেয়।