মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত ও পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের ছাবিনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে শ্রীপুর থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে গয়েশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিমের সমর্থক চুন্নু মিয়া তার নিজ গ্রাম ছাবিনগরের একটি জমিতে পেঁয়াজের ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এ সময় ওই ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী ইউসুফ মণ্ডলের সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালানোর জন্য চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে।
এ সময় চুন্নু কৌশলে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে বাড়ি এসে আশ্রয় নেন। এ ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে আব্দুল হালিম ও ইউসুফ মণ্ডলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ালে অনন্ত ১০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় জিরাত মণ্ডল (৬০) ও বকুল মোল্লা ( ৪৮) নামে দুই আওয়ামী লীগ কর্মীকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের প্রায় পাঁচটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ইউপি সদস্য হান্নান মণ্ডল ও সেতু বিশ্বাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশিষ সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যথাযথ নিদের্শনা দিয়েছে বলে জানান ওসি।
২৬ নভেম্বর ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান মনোনয়ন পাওয়ার পর তার পক্ষে এলাকায় আনন্দ মিছিল করে ইফসুফ মণ্ডলের সমর্থক গয়েশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ টুকুসহ অন্যরা।
এ ঘটনায় ইফসুফ মণ্ডলের স্থানীয় প্রতিপক্ষ আব্দুল হালিম চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা ৩ ডিসেম্বর লাঙ্গলবাঁধ বাজার এলাকায় গোলাম মোর্শেদ টুকুকে হাতুড়ি পেটা ও কুপিয়ে জখম করে। ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল