শাহ সুমন,বানিয়াচং প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার ২২ বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে।সর্বশেষ অপারেশন হয়েছিলো ১৯৯৯ সালে।
জেনারেল সার্জন প্রয়াত ডাক্তার খায়রুল আলম বদলি হয়ে চলে যাওয়ার পর থেকে অপারেশন বন্ধ রয়েছে।এরপর আর কোনদিন বানিয়াচংয়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন অপারেশন হয় নাই।কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দাবী করছে ২০১৮ সালে কিছুসংখ্যক গর্ভবতী মহিলাদের সিজার সম্পন্ন হয়েছে।সূত্রে জানা যায়,মাঝেমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আর বাস্তবায়ন হয়না। অস্ত্রোপাচারের যন্ত্রপাতি থাকলে সার্জন থাকেন না। আবার সার্জন থাকলে এনেসথেসিয়ার লোক থাকেন না। আবার দেখা যায় লোকবল থাকলেও অস্ত্রোপাচারের যন্ত্রপাতি অকেজো।
এরকম ভাবে কেটে গেছে ২২ বছর। কিন্তু কার্যকরভাবে সমন্বিত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই।যে কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী চিকিৎসা নিতে আসা জনসাধারণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুন জানান,প্রায় তিন মাস পূর্বে তিনি হাত কেটে ফেলেন।বানিয়াচং হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার জানান এই হাসপাতালে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।ওই তরুন আক্ষেপ করে বলেন অথচ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থাকা স্বত্তে¡ও আমার চিকিৎসা ওখানে সম্ভব হয় নাই। আমি হাসপাতালের সামনের এক ফার্মেসীতে চিকিৎসা করেছি হাসপাতালের এক সহকারী কে দিয়ে।বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সদ্যই যোগদান করেছেন এনেসথেসিয়ার ডাক্তার। কিন্তু জেনারেল সার্জন ও গাইনী কনসালটেন্ট না থাকার কারনে দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকা সত্ত্বেও অস্ত্রোপাচার করা সম্ভব নয় বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ শামীমা আক্তার বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকার কারনে জরুরী কোন অস্ত্রোপাচার করা সম্ভব হচ্ছেনা।