ওরসের নামে ফাঁদ পেতে মুরিদদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত পীরে চিশতী আবদুল মোতালেব। সারা দেশে তিনি ওরসের নামে মুরিদ তৈরি করেন। আর সেই মুরিদদের সরকারি চাকরি, ফ্ল্যাটের মালিকানা ও স্থানীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাইয়ে দেওয়ার কথা বলতেন। কথিত পীরের ফাঁদে পড়ে অসংখ্য মুরিদ তার হাতে তুলে দিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কাঙ্ক্ষিত চাকরি কিংবা নৌকার প্রার্থী কোনোটিই জোটেনি মুরিদদের ভাগ্যে। শেষ পর্যন্ত কথিত পীর আবদুল মোতালেবকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রতি বৃহস্পতিবার পীরে চিশতী আবদুল মোতালেব মুরিদদের নিয়ে মজমার আয়োজন করেন।দেশজুড়ে ওরস মাহফিলের নামে হাজারো মুরিদ তৈরি করেছেন কথিত এ পীর।ঢাকার উত্তরাতে রাজউক প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাটের মালিকানা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেও টাকা হাতিয়েছেন তিনি।
প্রতারিত ভক্তরা একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি চাকরির জন্য নিয়েছেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। আর ফ্ল্যাটের জন্য নিয়েছেন ৬০ হাজার টাকা। বলেছে ১ মাসের মধ্যে চাকরি হয়ে যাবে। এরপর দোয়া করে দিয়েছেন সবাইকে।
কথিত এই পীর নিজেকে নির্মাণ শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি দাবি করেছেন। নিজেকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। তার দাবি, এ জন্যই প্রতারণায় অর্জিত অর্থের বেশিরভাগই তিনি তুলে দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা লীগের কোষাধ্যক্ষ শেখ আক্তারি বেগম পারুলের হাতে।তবে আক্তারি বেগম তার এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মোতালেব কে আমি চিনিও না, জানিও না। সে আমার নাম ভাঙিয়ে এসব করেছে। আমি তার বিচার চাই।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, প্রতারণার মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের বেশিরভাগই আমোদ-ফূর্তিতে খরচ করেছেন কথিত এই পীর।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, সে বিভিন্ন সময় মোনাজাত করে, ওরস করে টাকা কামাত। এরমাধ্যমে নারীদের সঙ্গেও অন্তরঙ্গ হতো। এসব করে ব্যাপক টাকা কামিয়েছে। এই লোকটা দামি-গাড়ি ছাড়া চলাচল করে না। দলবাজির পেছনে টাকা খরচ করত।