আফগানিস্তানে প্রকৃত ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে তালেবান।
রোববার এক বিবৃতিতে কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের প্রধান মোল্লা আবদুল ঘানি বারদার আফগান শান্তি আলোচনার ব্যাপারে নিজেদের অঙ্গীকারের কথা জানান।
একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ সরকারের রূপরেখা পেশ করে তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় বিধানের আলোকে নারীদের তাদের প্রাপ্য অধিকার দেওয়া হবে।
তালেবানের এ মুখপাত্র বলেন, আমরা এটি অনুধাবন করছি যে, বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া সিস্টেমটির ধরন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আফগানদেরও প্রশ্ন রয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত সিরিজবৈঠকে এসব ব্যাপারে তালেবান খুব স্পষ্টভাবে তার অবস্থান তুলে ধরেছে।
মোল্লা আবদুল ঘানি বারদার বলেন, আফগানিস্তান সংক্রান্ত যাবতীয় ইস্যুর সর্বোত্তম সমাধান হলো— একটি ‘প্রকৃত ইসলামি ব্যবস্থা’। আলোচনায় আমাদের অংশগ্রহণ এবং সেখানে আমাদের পক্ষে যে সমর্থন এসেছে, সেটি স্পষ্টতই এ ইঙ্গিত দেয় যে, আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়ায় বিশ্বাসী।
রয়টার্স জানিয়েছে, কাতারে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালেবানের আলোচনা বেশ ধীরগতিতে অগ্রসর হচ্ছে। অন্যদিকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আগে দেশজুড়ে সহিংসতা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই তালেবানের তরফ থেকে এ বিবৃতি এলো।